করমুক্ত আয়সীমা বেড়ে হচ্ছে ৩ লাখ টাকা

income-tax-fair-151119-05

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান। এর আগে বিকেলে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা ধার্য রয়েছে। নারী করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা রয়েছে ৩ লাখ টাকা। পুরুষ করদাতাদের মতো আগামী অর্থবছরের জন্য নারী করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমাও ৫০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আয়করসীমা সম্পর্কে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতা, বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং করধাপ ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে অপরিবর্তিত রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে সম্মানিত করদাতাগণ কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। এ বছর বিশ্বব্যাপী  করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্মানিত করদাতাগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে আমি কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতা, বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাগণের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি এবং করহার হ্রাসের প্রস্তাব করছি। এতে করে ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘবের ফলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসবে এবং করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হবেন বলে আশা করা যায়।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুরুষ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা এবং নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রস্তাব করছি। একই সাথে সর্বনিম্ন করহার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’

নিচের সারণীতে কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং করধাপ উপস্থাপন করা হলো:

Pin It