সফরে আছে নানা উদ্বেগ, শঙ্কা। কিন্তু নেই কোনো আর্থিক লাভ! অ্যান্ডি রবার্টস তাই ভেবে পাচ্ছেন না, এই দুর্যোগ সময়ে কেন ইংল্যান্ডে দল পাঠাল ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ! ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির প্রশ্ন, টাকা-পয়সা না পেয়ে কেন নিজেদের এভাবে গিনিপিগ বানানো হলো।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় তিন মাস ধরে ইংল্যান্ডে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্রিকেট। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি এড়াতে ঘরোয়া মৌসুমের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো আয়োজনে মরিয়া ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তাদের সেই উদ্যোগের শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিয়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই মৌসুমের সিরিজগুলি আয়োজন করতে পারলে ৩৮ কোটি পাউন্ড ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে ইংল্যান্ডের বোর্ড।
এমনিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের টিভি স্বত্ব থেকে শুরু করে অন্য সব আয় পেয়ে থাকে আয়োজক বোর্ডই। এই সিরিজেও সব আয় যাবে ইসিবির কোষাগারে। রবার্টসের প্রশ্ন সেখানেই। এই সিরিজ তো আর দশটা সিরিজের মতো নয়!
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার জ্যামাইকা গ্লিনারকে বলেছেন, মহামারির সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল যে ঝুঁকি নিয়েছে, সেটির আর্থিক মূল্য থাকা উচিত ছিল।
“ইংল্যান্ডে যেতে তাদের (বোর্ডের) রাজি হওয়া নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আমার কথা হলো, এই সফর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর্থিকভাবে লাভবান হবে না বলে শোনা যাচ্ছে। আমি মনে করি, এটা ভুল। কারণ আমরা যে ঝুঁকিটি নিতে যাচ্ছি, আমার মনে হয় না খুব বেশি দেশ এটি নিতে চাইবে।”
“যে ঝুঁকি কেউ নিতে চাইবে না, সেটিই আমরা নিচ্ছি। ইংল্যান্ডের প্রায় ৩৮ কোটি পাউন্ড বাঁচাতে আমরা কেন ঝুঁকি নিচ্ছি! যদি কেউ ইংল্যান্ডে না যায়, তাহলে তারা এই অর্থ হারাবে। তারা যদি আমাদের কিছু না দেয়, তাহলে কেন আমরা গিনিপিগের মতো সেখানে যাচ্ছি এবং কোনো কিছু না পেয়েও নিজেদের বিসর্জন দিচ্ছি!”
রবার্টস যখন প্রশ্ন তুলছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তখন ইংল্যান্ডে। সিরিজটি খেলতে গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডে পৌঁছেছে জেসন হোল্ডারের নেতৃত্বাধীন দল। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ‘জীবাণুমুক্ত পরিবেশে’ থেকে তিন সপ্তাহ অনুশীলন শেষে যাবে তারা সাউথ্যাম্পটনে। সেখানে আগামী ৮ জুলাই শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১৬ ও ২৪ জুলাই শুরু হবে বাকি দুই টেস্ট।