ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ এলাকাসহ নতুন মানচিত্র অনুমোদনের সংবিধান সংশোধনী বিল নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছে।
শনিবার পার্লামেন্টের ২৭৫ জন সদস্যের মধ্যে ২৫৮ জনের সমর্থনে সংশোধনী বিলটি পাশ হয় বলে নেপালের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার অগ্নি প্রাসাদ সাপকোটা জানিয়েছেন।
এই সংখ্যা প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকেও বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। বিলটির বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি।
প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ লিপুলেখ পাস, লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানি এলাকা নতুন মানচিত্রে নেপালের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই তিনটি এলাকা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কয়েক দশক ধরে সীমান্ত বিরোধ চলছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই বিরোধের বিষয়ে নেপাল কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে, দেশটির পার্লামেন্টের পদক্ষেপে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ভারত, চীনের তিব্বত অঞ্চলের সীমান্তবর্তী লিপুলেখ পাসের সঙ্গে উত্তরখান্ড রাজ্যকে সংযোগকারী ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক উদ্বোধন করার পর মে মাসে সংশোধিত নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। ভারতের ওই সড়ক যে এলাকা দিয়ে গিয়েছে সেটি তাদের দেশের অংশ বলে দাবি করেছে নেপাল।
নেপালের নতুন মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করে একে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করে ভারত। এই নতুন মানচিত্র ঐতিহাসিক তথ্যপ্রমাণভিত্তিক নয় বলে দাবি করে তারা।
নিম্নকক্ষের রায় পাওয়ার পর সংশোধনী বিলটি এবার অনুমোদনের জন্য নেপালের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের যাবে। উচ্চকক্ষের অনুমোদন পেলে প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারির অনুমোদনের মাধ্যমে আইনটি নেপালের সংবিধানের অংশে পরিণত হবে।
নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান পুষ্প কমল দহল প্রচন্দ বলেছেন, নেপাল এই বিষয়টিকে জটিল করতে চায় না এবং এর একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
“ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যুটি সমাধান করতে চাই আমরা,” শনিবার পার্লামেন্টে বলেছেন নেপালের সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহীদের এই প্রধান।