দেশে চিকিৎসা বৈষম্য ভয়াল রূপ ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার শুধুই তার দলের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, নেতা ও ভিআইপিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে। তাদের জন্য সব সুবিধা নিশ্চিত করছে। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তাতেই মারা যাচ্ছে, সরকার তাদের কোনো খবর নিচ্ছে না।’
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ঢাকায় কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ বেড খালি নেই, কোনো কোনো বেসরকারি হাসপাতালে করোনার ওয়ার্ড খুললেও আইসিইউ বেড ও চিকিৎসার জন্য গলাকাটা দাম নিচ্ছে। তিন মাসে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে-যাদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা পাননি। বেঁচে থাকাবস্থায় নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেননি তারা করোনা আক্রান্ত কিনা।
রিজভী বলেন, ‘সরকারের অবহেলার কারণে বাংলাদেশে করোনা শনাক্তকরণও সঠিকভাবে হচ্ছে না। করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কীটও ত্রুটিপূর্ণ।’
প্রস্তাবিত বাজেটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যয় বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, করোনাত্তোর অর্থনৈতিক মন্দাকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশে সরকারি ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী নিজেদের ব্যয় কমিয়ে দৃষ্টান্ত করার চেষ্টা করেছেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সরকার হাঁটছে উল্টোদিকে। এই সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অফিসের ব্যয় বাড়িয়েছেন ৯৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের খরচের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। গত বছর ৩ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পর ব্যাপক সমালোচনা হলেও সরকার এতে কর্ণপাত করেনি।