দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি থাকার পর মানবিক কারণে দণ্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তির তিন মাস পেরিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। গত ২৫ মার্চ থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় আছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অন্যতম প্রফেসর ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল। উন্নতি হয়নি আবার অবনতিও হয়নি। পূর্ণ সুস্থতার জন্য দীর্ঘ সময় লাগবে। আধুনিক চিকিৎসারও প্রয়োজন হবে। বাসায় থেকে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।’ ৭৫ বছর বয়সি খালেদা জিয়া রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারছেন না তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরকারের কাছে অনুমতি চাইবেন চিকিত্সা নিতে বিদেশে যাওয়ার জন্য। লন্ডনে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে করোনার মধ্যে আত্মীয়দের সান্নিধ্যে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার। প্রায় প্রতিদিনই বিকেল বা সন্ধ্যায় ফিরোজায় যান বোন সেলিমা ইসলাম, ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। মাঝেমধ্যে যান ভাতিজা শাফিন এস্কান্দার ও তার স্ত্রী অরনী এস্কান্দার, ভাতিজা অভিক এস্কান্দার ও ভাগ্নে শাহরিয়া হক। এ ছাড়া তার সময় কাটে নামাজ-এবাদত, পত্র-পত্রিকা পড়ে ও টিভি দেখে। খালেদা জিয়া নিয়মিত ফোনে লন্ডনে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। কুশল বিনিময় করেন পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানের সঙ্গে। ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গেও প্রতিদিন কথা বলেন বেগম জিয়া। প্রয়োজন মতো দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন।
জানা গেছে, ২৫ সেপ্টেম্বর তার মুক্তির সময়সীমা ৬ মাস শেষ হওয়ার আগেই মেয়াদ বৃদ্ধি এবং দণ্ডাদেশ বাতিলের আবেদন করা হতে পারে।