করোনা টেস্ট ছাড়াই রোগীদের জাল রিপোর্ট প্রদান, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকা-আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আসামিদের মধ্যে এমডি মাসুদ পারভেজসহ আটজনকে গত সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র্যাব। তাদেরকে মঙ্গলবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উত্তরা পশ্চিম থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ৯ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করতে র্যাব, পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযান চলছে। বুধবার ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র্যাব বাদি হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আজ বুধবার ওই মামলায় আটক ৮ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি তপন চন্দ্র সাহা জানান, ‘করোনা টেস্ট না করে রোগীদের জাল রিপোর্ট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে র্যাব এ মামলা করে।
মামলার আসামিরা হলেন, হাসপাতালের অ্যাডমিন আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়ি চালক আব্দুস সালাম (২৫), এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮), চেয়ারম্যান মো. শাহেদ (৪৩), ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) এবং মাহবুব (৩৮)। অপর দুজনের নাম জানা যায়নি।
আজ র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের ঘটনায় র্যাব বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে । এর মধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।