ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৬ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার। ০১ শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
৬২২- হিজরি সন গণনা শুরু হয়।
১৮৫৬- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় লর্ড ক্যানিং হিন্দু বিধবা বিবাহের বৈধতা দেন।
১৯৬৫- ইতালি ও ফ্রান্সের মধ্যে মন্টব্যাক সড়ক সুড়ঙ্গ উদ্বোধন করা হয়।
১৯৬৯- মানুষবাহী মার্কিন নভোযান অ্যাপোলো-১১ চাঁদের অভিমুখে যাত্রা করে।
এই অভিযান ছিল নভোচারী নিল আর্মস্ট্রংয়ের। তার সঙ্গে ছিলেন কমান্ড মডিউল চালক মাইকেল কলিন্স এবং চন্দ্র অবতরণযানের চালক এডুইন অল্ড্রিন জুনিয়র। চাঁদে পা রেখেই অভিভূত নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘মানুষের জন্য এটা ছোট পদক্ষেপ, তবে মানবজাতির জন্য বিশাল এক লাফ।’ নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়েছিলেন আজ থেকে ৪০ বছর আগে, ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। এই চল্লিশ বছরে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্যে মানুষ অনেক এগিয়েছে। এগিয়ে চলার পথে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নভোচারীর অবদানও কিন্তু কম নয়। মানুষ তো নিজের সামর্থ্যের সীমা দেখেছিল সেখানেই।
পৃথিবীতে এমন মানুষ কী আছে, যার শৈশবে চাঁদের গল্প ছিল না? এমন কী কেউ আছেন, যিনি কখনেও চাঁদের দেশে যাবার স্বপ্ন দেখেননি? নিল আর্মস্ট্রং, দেখতেন। ওহাইয়োর ওয়াপাকোনেটায় জন্ম নেওয়া আর্মস্ট্রং অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৫ সালে তার কর্মজীবন শুরু হয় টেস্ট পাইলট হিসেবে।
১৯৮১- ডা. মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন।
জন্ম
১৮৬০- ডেনমার্কের ভাষাবিজ্ঞানী ও ইংরেজি ব্যাকরণ বিশেষজ্ঞ অটো ইয়েসপারসেন।
১৮৭২- প্রথমবার দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানো নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী রোল্ড আমুন্ডসেন।
১৯৭৩- দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার শন পোলক।
১৯৮১- লেবানন বংশোদ্ভূত মুসলিম সুইডিশ গায়ক, গীতিকার এবং সংগীত নির্মাতা মেহের জেইন।
১৮৮৮- নোবেলজয়ী ডাচ পদার্থবিদ ফিৎস জার্নিক।
মৃত্যু
১৭৪৭- ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী জুসেপ্পি ক্রিপসি।
১৮৬৮- বস্তুবাদী রুশ দার্শনিক ও সাহিত্য সমালোচক দমিত্তি পিসারিয়েভ।
১৯৮৫- নোবেলজয়ী জার্মান ঔপন্যাসিক হাইনরিখ বয়েল।
১৯৮৫- চিত্রকর, কবি ও চিত্র সংগ্রাহক শুভো ঠাকুর।