প্রিন্সেস ডায়না যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী হিসেবে ব্রিটিশ রাজপরিবারে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ে করে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হন যথাক্রমে কেট মিডলটন ও মেগান মার্কেল। এই তিন রাজবধূর মধ্যে প্রিন্সেস ডায়নাকেই সবচেয়ে আকর্ষণীয় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধু ব্রিটিশ রাজপরিবার নয় বিশ্বের অন্যান্য রাজপরিবারের রাজবধূদের মধ্যেও শ্রেষ্ঠ সুন্দরীর খেতাব পেয়েছেন প্রয়াত ডায়না।
রাজপরিবারের নারীদের সৌন্দর্য বিচারে ব্যবহূত হয়েছে গোল্ডেন রেশিও বা সোনালি অনুপাত তত্ত্ব। ‘গোল্ডেন রেশিও’ বা সোনালি অনুপাত একটি প্রাচীন গ্রিক পদ্ধতি। গ্রিক পণ্ডিতরা সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় গাণিতিক ফর্মুলা ব্যবহার করে মুখের বিভিন্ন অংশের অনুপাত নির্ধারণ করেছেন। সেই হিসেবেই রাজবধূদের মধ্যে আকর্ষণীয় মুখমণ্ডল খুঁজতে এই গোল্ডেন রেশিও ব্যবহূত হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের অনুপাত যা কোনো চিত্রকর্ম, স্থাপত্যকলা, মানুষের সৌন্দর্য ইত্যাদিতে প্রয়োগ করে তার চমত্কারিত্ব বিচার করা হয়। মিশরের পিরামিড, আগ্রার তাজমহল, আইফেল টাওয়ার, হোয়াইট হাউজ ইত্যাদিতে এই সোনালি অনুপাত প্রয়োগ করা হয়েছে।
সোনালি অনুপাতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রাজবধূ হিসেবে প্রিন্সেস ডায়নার পরেই রয়েছেন জর্ডানের রানি রানিয়া এবং প্রয়াত প্রিন্সেস অব মোনাকো গ্রেস কেলি। এরপর রয়েছে ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডলটনের নাম। প্রাচীন গ্রিকের গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী বিচারকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। মুখ, নাক, কান, গলা, চোখ, চোখের ভ্রু, ঠোঁট, চিবুক, ইত্যাদির আলাদা সৌন্দর্য মান নির্ধারণ করে মোট যোগ করে গড় করে প্রিন্সেস ডায়নার সৌন্দর্যের মান দাঁড়িয়েছে ৮৯.০৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রানি রানিয়ার প্রাপ্ত নম্বর ৮৮.৯০ শতাংশ। সৌন্দর্যের মানদণ্ডে প্রিন্সেস অব মোনাকো গ্রেস কেলি ৮৮.৮০ শতাংশ, ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল ৮৭.৪০ শতাংশ এবং ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন ৮৬.৮০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হয়েছে।-ডেইলি মিরর