ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

president-hamid-siblings-170720-01

আট মাসেরও বেশি সময় পরে নিজ এলাকায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তবে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের মরদেহ।

রোববার বেলা দুইটার দিকে আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারে করে ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে কিশোরগঞ্জে যাবেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন নিশ্চিত করেছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আবদুল হাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার প্রথম প্রহরে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বেও ছিলেন আব্দুল হাই।

সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর মাসে কিশোরগঞ্জ সফরে যান রাষ্ট্রপতি। সেই সময় সাতদিন তিনি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নানা কর্মসূচিতে যোগ দেন, কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

ভাইবোনদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবিতে বাঁয়ে মো. আবদুল হাই, যিনি বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। আর ছবিতে ডানে তাদের ছোট ভাই আবদুল হক নুরু এবং বোন আছিয়া আলম, যিনি মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান।ভাইবোনদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবিতে বাঁয়ে মো. আবদুল হাই, যিনি বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। আর ছবিতে ডানে তাদের ছোট ভাই আবদুল হক নুরু এবং বোন আছিয়া আলম, যিনি মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান।গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে পারিবারিক গোরস্তানে রোববার দাফন হবে আবদুল হাইয়ের।
ওইদিন জানাজ শেষে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। রাষ্ট্রপতি ছোট ভাইয়ের জানাজা, দাফন ও দোয়ায় অংশ নেবেন।

ওইদিন আবদুল হামিদ নিজ বাড়িতে থাকতেও পারেন বলে বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

আবদুল হাইয়ের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।

৫ জুলাই তাকে ঢাকা সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত কয়েকদিন তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন।

ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় আবদুল হাইয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন জয়নাল আবেদীন।

১৯৫৩ সালে জন্ম নেওয়া আবদুল হাই নয় ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন অষ্টম।

আবদুল হাই স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন ।

করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে সর্বশেষ ১১ জুন বঙ্গভবনের বাইরে সংসদে বাজেট অধিবেশনে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

Pin It