বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য সরকার কিছুই করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে তিনি বলে, সরকার শুধু মুখেই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে, কাজ কিছু হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমনকি গবাদি পশু ও শিশু খাদ্যের সংকটও চরম আকার মাত্রায় বিরাজমান।
“শুধু লিপ সার্ভিস ছাড়া সরকার এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি।”
বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রিজভী
তিনি বলেন, “বন্যা উপদ্রুত মানুষগুলোর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা না থাকায় তারা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় অনাচার, অব্যবস্থাপনার ব্য্যর্থতার ন্যায় বন্যা মোকাবেলায় সরকার উদাসীন ও নির্লিপ্ত।
“করোনার আঘাতে অসুস্থ মানুষের প্রতি সরকার যেমন কোনো দায় বোধ করেনি ঠিক তেমনি বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষের প্রতিও তারা ভ্রুক্ষেপহীন। বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুযোর্গেও মানুষের পাশে নেই সরকার।”
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির চিত্র তুলে ধরে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা রিজভী বলেন, “নদী ভাঙনের ফলে বন্যাদুর্গত এলাকায় পাট, ধান, সবজিসহ ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গবাদি পশু নদীর পেটে চলে গেছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
“ফসল আবাদ করে যে মানুষগুলো স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতো তারা এখন বন্যা-আশ্রয় কেন্দ্রে দু‘মুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে।”
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতি ও স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি আড়াল করতে সরকার ‘নানা ইস্যু তৈরি করে’ জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।