বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রিলিমিনারী (নৈবিত্তিক ) পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষানবিশদের আইনজীবী হিসেবে সনদ প্রদান ও এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। আজ রাজধানীর বাংলামটরস্থ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে দিনভর এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রধান সমন্বয়ক সুমনা আক্তার লিলি বলেন, ২০১৭ সালের পর প্রায় দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের আইনজীবী অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বার কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির শিক্ষানবিশ আইনজীবী বোনা আসাদ বলেন, আপীল বিভাগের রায় ২০১৭ সাল থেকে কার্যকর হলে আজকে আইজীবী থাকতাম। আমরা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে শুধুমাত্র বার কাউন্সিলের পরীক্ষার জটের কারণে আজকে ৩ বছর বেকার। তাই বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির কাছে অনুরোধ এমসিকিউ উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশ করে সনদ দিয়ে ২০২০ সাল থেকেই আপিল বিভাগের নির্দেশনা কার্যকর করে আমাদের বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিন।
পূর্বে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) মাধ্যমে আইনজীবীদের সনদ প্রদান করা হতো। তবে দিন দিন শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়তে থাকায় আইনজীবী হতে বর্তমানে নৈবিত্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষর্থীদের উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যে কোন একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মত অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তবে দ্বিতীয়বারেও অনুত্তীর্ণ হলে তাদেরকে পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষর্থীর মধ্যে থেকে ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থীসহ সর্বমোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদ প্রত্যাশী দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে চলেছে।