করোনাভাইরাস বিরতির পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমে জালের দেখা পেলেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকার গোলে সাঁত এতিয়েনকে হারিয়ে ফরাসি কাপ জিতে নিয়েছে পিএসজি।
প্যারিসের স্তাদে দি ফ্রান্সে শুক্রবার রাতের ফাইনালে বেশিরভাগ সময় ১০ জন নিয়ে খেলা এতিয়েনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে টমাস টুখেলের দল।
সব মিলিয়ে ফরাসি কাপের সফলতম দলটির ১৩তম শিরোপা এটি। টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত আসরের ফাইনালে রেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরেছিল তারা।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল পিএসজি। এতিয়েনের মিডফিল্ডার ডেনিস বানগার শট পোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
ফাইনালের আগে তিন প্রস্তুতি ম্যাচে চার গোল করা নেইমার চতুর্দশ মিনিটে এগিয়ে নেন দলকে। বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া কিলিয়ান এমবাপের জোরালো শট গোলরক্ষক ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
২৭তম মিনিটে লোয়িচ পেরিন এমবাপেকে ফাউল করার পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এতে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। বেঞ্চ থেকে উঠে আসা মার্কো ভেরাত্তিসহ হলুদ কার্ড দেখেন পিএসজির তিন জন, এতিয়েনের একজন। পরে ভিএআরের সাহায্যে পেরিনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপে। ম্যাচের শেষ দিকে দুই ক্রাচে ভর দিয়ে ডাগআউটে আসেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
৫৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিল আনহেল দি মারিয়ার সামনে। কিন্তু আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডারের শটে পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায় বল।
বাকি সময়ে আরও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। তবে সুযোগ নষ্টের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত এপ্রিলে লিগ ওয়ানের এবারের মৌসুম বাতিল করে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় পিএসজিকে। আগামী ৩১ জুলাই ফরাসি লিগ কাপের ফাইনালে লিওঁর বিপক্ষে খেলবে টুখেলের দল। এরপর আগামী ১২ অগাস্ট খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। লিসবনে শেষ আটের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সেরি আর দল আতালান্তা।