ছোট চোর ধরতে বড় চোরের অনুমতি লাগবে: সোহেল

bnp-070820-02

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অভিযানের আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়ার বিষয়টিকে ‘ছোট চোর ধরতে বড় চোরের সম্মতির’ সাথে তুলনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

শুক্রবার দুপুরে এক স্মরণসভায় তিনি বলেন, “রাতের অন্ধকারে জনগণের ভৌতিক ভোটের বাক্স চুরি করে যারা ক্ষমতায় বসেছেন কত নির্লজ্জ তারা দেখেন, এই করোনা মহামারীর সময়েও তারা আইন করেছেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জেলায় যেসব হসপিটাল আছে, সেখানের চোরগুলোকে ধরতে হলে সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ ছোট চোরকে ধরতে হলে বড় চোরের অনুমতি নিতে হবে।
“এমনি একটি লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে যে লড়াই অসমাপ্ত রেখে গেছেন বাবু (শফিউল বারী বাবু), সেই লড়াইকে আমরা যারা বাবুর সহযোদ্ধারা আছি- এক এবং ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে এই সরকারের পতন ঘটাব এবং শফিউল বারী বাবু ও আবদুল আউয়াল খানের অসমাপ্ত লড়াইকে সমাপ্ত করেই আমরা তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাব।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানের স্মরণে এই দোয়া ও আলোচনা সভা হয়।
শফিউল বারী বাবুর দলের প্রতি আনুগত্যতার বিষয়টি তুলে ধরে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, “যখন ভালো সময় থাকে তখন ত্যাগীরাও থাকেন, তখন সুবিধাবাদীরাও থাকেন। যখন খারাপ সময় থাকে তখন কিন্তু সবাই থাকে না। তখন অনেকেরই গায়ে অসুখ হয়, অনেকেই অসুস্থতায় পড়ে যান, অনেকেরই ছেলে সন্তানের নানা রকম সমস্যা হয়, অনেকে আবার বিদেশ চলে যান।

“অনেকেই আবার দলের দুঃসময়ে, নেত্রীর দুঃসময়ে, আমাদের নেতার দুঃসময়ে উনারা যখন জেলে থাকেন, অনেকে সেটিংয়ে যান। সেটিংয়ে গেলে ভালো থাকা যায়, বিপদ থাকে না।কিন্তু শফিউল বারী বাবুরা সেটিংয়ে যেতে পারেন না। কারণ তারা দলের প্রতি কমিটেড। যারা আমাদের শহীদ জিয়ার পরিবারকে পবিত্র আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছে, যারা শহীদ জিয়ার পরিবারকে বাংলাদেশের সম্পদ বলে মনে করে, যারা মনে করে আমরা পেলাম কি পেলাম না, সেটি বড় নয়, যদি আমাদের নেত্রী ভালো থাকেন, যদি আমাদের নেতা ভালো থাকেন তাহলে আমরাও ভালো থাকব, তাদের জন্যে শফিউল বারী বাবুর চলে যাওয়াটা অনেক বড় ক্ষতি।”

আলোচনা সভার পর বিশেষ মোনাজাত করেন উলামা দলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারির সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মো. ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, আবদুল মালেক, মীর সরফত আলী, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ইশরাক হোসেন, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য রাখেন।

Pin It