চন্দ্রিমা উদ্যানের সড়কে রত্না নামের পর্বতারোহীকে পিষে ফেলল এক ভক্সওয়াগন। রত্না এই সড়কে প্রতিনিয়ত বাইসাইকেল চালাতেন। যিনি পাহাড়কে জয় করলেন তিনি হেরে গেলেন একটি গাড়ির কাছে। তাঁকে এমনভাবে ক্রিসেন্ট লেকের পাশের রাস্তায় পিষে ফেলা হলো তা মর্মান্তিক।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টার এই ঘটনা দেশের পর্বতারোহীদের মনকে বিষাদে পরিণত করলো। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি ভক্সওয়াগন রত্নাকে সাইড নিয়ে সাইকেল সমেত তার ওপর গাড়ি তুলে দেয়।
(পড়ে আছে রত্নার সাইকেল )
রেশমা নাহার রত্না পেশাগত জীবনে তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি পর্বতারোহণসহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার কাজে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা এস আফজাল হোসেন একজন বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
রত্না গত বছর নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে উচ্চতর পর্বতারোহণ কোর্স সম্পন্ন করেন এবং তার কিছুদিন পরই লাদাখে দুটো ৬ হাজার মিটার পর্বত আরোহণ করেন।
রত্না দৌঁড়াতে ভালোবাসতেন। প্রচুর বই পড়তেন। খুব অল্প বয়সেই একটি বেপরোয়া গাড়ি রত্নার জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিল। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার শুভাকাঙ্ক্ষী পর্বতারোহীরা।
পর্বতারোহী মীর শামসুল আলম বাবু জানান, নিয়মিত শারীরিক প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে রত্না আজ সকালে ২০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন। অনুশীলন শেষে সাইকেল চালিয়ে হাতিরঝিল থেকে মীরপুরে নিজের বাসায় ফিরছিলেন। পথে সংসদ ভবন এলাকায় চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশের রাস্তায় একটি গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তাঁর লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রত্নার মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে তার স্বজন ও অন্যান্য পর্বতারোহী-সহযাত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন।