বিশ্ব রাজনীতিতে আজও প্রাসঙ্গিক বঙ্গবন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

fm-bangabandhu-180820-01

ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন করে গেছেন, সেটাকে বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে জাতির পিতার প্রাসঙ্গিকতার প্রমাণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ, দূরদর্শিতা, নীতি ও মূল্যবোধ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও অনুকরণীয়।”

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং সমসাময়িক বিশ্বে এর প্রাসঙ্গিকতা’ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “নব্য স্বাধীন হওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরও বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে কখনও পিছপা হননি।

“তিনি সারা জীবন ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন, যা এখন সমসাময়িক বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

মোমেন বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহিংসতা ও যুদ্ধ বিগ্রহের বড় কারণ অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা। পরমত সহিষ্ণুতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

“ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সকলের প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধু তার শত্রুকেও শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধুর বিরোধী পক্ষও তার অসাধারণ নেতৃত্ব ও মানবিক গুণাবলীর প্রশংসা করতেন।”

বঙ্গবন্ধুর মত দূরদর্শী নেতৃত্ব পৃথিবীর খুব কম ব্যক্তিই অর্জন করতে পেরেছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের গণমানুষের নেতা ছিলেন এবং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন।

“এ মহান নেতা তার স্বপ্নকে অনুসারিদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। আমরা এখনও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে মন্তব্য করে মোমেন বলেন, “কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, কর্ম ও অর্জন লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখবে।”

Pin It