সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর শেয়ারবাজারে ফিরেছে ৮ হাজার ৭১ কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বাজার মূলধন।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা আর তারল্যসংকটে দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা শেয়ারবাজার দুই মাসের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। সূচকের একের পর এক উত্থানের কারণে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক এক বছরের বেশি সময় পর ৫ হাজার পয়েন্ট স্পর্শ করে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করার পর রবিবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহসূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে অংশ নেওয়া ২২৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১০৬টি এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩০৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। কোম্পানিটির ৫৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৪০ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে—ব্র্যাক ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং এবং এক্সপ্রেস ইনসিওরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৩৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।