নাব্য সঙ্কটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। যারা এ ঘোষণা জানতেন না, ঘাটে আসার পর তাদের অনেকেই আবার ফিরে গেছেন।
সীমিত আকারে চালুর দুই দিন যেতে না যেতেই রোববার রাতে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে ফেরি চলাচল আবার বন্ধ ঘোষণা করে ঘাট এলাকায় মাইকিং করে বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে ঘাট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। অনেক গাড়ি রেখে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ আর স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হচ্ছে। যারা এ ঘোষণা জানতেন না, তাদের অনেকে ঘাটে এসে আবার অনেকে ফিরে গেছেন। তবে পণ্যবাহী ট্রাক চলাকরা এখনও ঘাটেই অপেক্ষায় রয়েছে।”
এদিকে চ্যানেলে নাব্যতার অভাব থাকায় ফেরি চালানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে লৌহজং টার্নিয়ের কাছের লৌহজং চর ভেঙে পলি জমি যাচ্ছে চ্যানেলে। ফলে চ্যানেলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে।
শফিকুল বলেন, “চ্যানেলের পলি অপসারণ করা না হলে ফেরি চালানো সম্ভব না। বিআইডব্লিউটিএর পরামর্শেই ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বালুর বস্তা ফেলেও তিন নম্বর ঘাটে পদ্মার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না; ক্রমেই বিলীন হচ্ছে ঘাট ও আশপাশের জনপদ। এতে ঘাটে ব্যবসায়ী ও আশপাশের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে।
“নাব্য সঙ্কটে এখন এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে যে, ছোট ফেরিও চলতে পারছে না। পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডবে ঝুঁকির মধ্যে শিমুলিয়ার নতুন তিন নম্বর ঘাট। ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মার এই প্রবল স্রোত এবং ভাঙন থেকে ঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে শুধু বালুর বস্তা।বিলীন হয়ে যাওয়া ৪ নম্বর ঘাট এখনো চালু করা যায়নি। ফেরি চলছিল ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে। এখন সেটিও বন্ধ।”
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুল রহমান জানান, চ্যানেল সচলে চেষ্টা চলছে। এই রুটের ১৭ ফেরির চারটি অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৩টি অলস বসে আছে।