সীমান্তে মানুষ হত্যা হলেও সরকার নিশ্চুপ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সীমান্তে দেশের মানুষকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ হত্যা ও রক্তাক্ত করছে। সরকার এর জন্য একটা প্রতিবাদও করতে পারছে না।
রোববার স্বেচ্ছাসেবক দলের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দিতে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানটি বাড্ডার একটি মাদ্রাসায় হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের বাধার কারণে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে হয়।
স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠান হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান। পরে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন জামা-কাপড় বিতরণ করা হয়।
বিএনপি সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে রিজভী আরও বলেন, ‘বিএনপির নীতি হচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশ, দূরবর্তী দেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা; কিন্তু নিজের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করে নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য দেশের স্বার্থকেও বিসর্জন দিচ্ছেন। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।’
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোকাণ্ড ও সরকারি টাকা লুটপাটকারীদের আমরা দেখেছি। কিন্তু যারা এদের কাছ থেকে বখরা পেয়েছে সেসব নেতা-গডফাদারদের তো স্পর্শও করতে পারেনি দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের একদিকে জামিন বাতিল করে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জামিন পাচ্ছে। এক দেশে আইনের দু’রকম প্রয়োগ হচ্ছে।’