মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে গেল আরও এক ধাপ, পরামর্শক নিয়োগ

Untitled-6-samakal-5f6b56d9878cb

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে সাড়ে ১৮ মিটার গভীরতার বন্দর নির্মাণ প্রক্রিয়ায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাট এলাকায় বন্দরটি নির্মিত হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ-সংক্রান্ত দুটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। জাপানের নিপ্পন কোয়ে এবং ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড দুটির সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

এ সময় মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কার্যক্রম-সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক জাফর আলম এবং নিপ্পন কোয়ের প্রতিনিধি নাওকি কুদো প্রকৌশলগত বিষয়ের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (বন্দর সংযোগ সড়ক অংশ) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের (আরএইচডি) কার্যক্রম-সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক সাদেকুল ইসলাম এবং ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টের প্রতিনিধি শুনজি ইউশিহারা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ-সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার আরও বেশি সুদৃঢ় হবে। সুনীল অর্থনীতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে মাতারবাড়ী বন্দর নতুন উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাবে।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, সমুদ্রসম্পদ ও বঙ্গোপসাগরের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে মাতারবাড়ী বন্দর সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এ বন্দরের বাস্তবায়ন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইকি ইয়ামায়া।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়ের পক্ষ থেকে প্রকল্পের যাবতীয় নকশা ব্যয় নির্ধারণ, টেন্ডার ডকুমেন্টস তৈরি এবং অবকাঠামোগত নির্মাণের বিষয়গুলো মনিটর ও তদারক করা হবে। পরবর্তী সময়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ থেকে শুরু করে বন্দর চালু করে দেওয়ার বিষয়টি সমন্বয় করবে। বন্দর চালু হওয়ার এক বছর পর্যন্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাপোর্ট দেবে। এজন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিকে ২৩৪ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আর ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট গ্লোবাল কোম্পানি প্রকল্পের (বন্দর সংযোগ সড়ক অংশ) সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কার্যক্রম-সংক্রান্ত পরামর্শ দেবে। এজন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিকে ৪৬৬ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

Pin It