সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার দুপুরে ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত হয়ে একথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “দেশে আইন নিজস্ব গতিতে চলছে। বিচার বিভাগের উপরও সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। দেশের মানুষ দেখেছে, নিজ দলের সমর্থক কিংবা নেতারাও অপরাধী হলেও সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা দেয়নি।
“সিলেটে এমসি কলেজের ঘটনায়ও শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে। অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট করে কোনো ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেও পরে শুক্রবার এক নববধূকে তুলে নিয়ে এমসি ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনাকে ইঙ্গিত করেছেন বলে জানান।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীর সঙ্গ বেড়াতে আসা এক নববধূকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এই ঘটনায় ওই তরুণীর করা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও আট আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণও ষড়যন্ত্র
বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অভিযোগের পুরোনো কৌশল নিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি উপনির্বাচনে অংশ নেয়ায় আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণও এক ধরণের ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনে প্রচার না চালিয়ে, পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, মাঠে না থেকে, অভিযোগের পর অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপির যে পুরোনো কৌশল তাতে মরিচা ধরে গেছে। জনগণ আর বিএনপির মিথ্যাচারে বিশ্বাস করে না।
মানবকল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতির দর্শন
ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাজনীতির মাধ্যমে মানবকল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতির দর্শন। তার রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো জনগণের জীবনমান উন্নয়ন।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মেহনতি-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যেমন দৃঢ় প্রতীজ্ঞ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উদার গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেরও প্রতিচ্ছবি।
“তাই দেশবিরোধী-স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বার বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা চালায়। ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। জনকল্যাণে যাদের গা জ্বালা করে তারা অহর্নিশ শেখ হাসিনাকে অভিসম্পাত করতে পারে।
“কিন্তু জনগণের অক্ষয়-অকৃত্রিম ভালবাসা তার চাইতে কয়েকগুণ শক্তিশালী। প্রতিবারই সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় জনগণের অক্ষয় ভালবাসা ও আর্শীবাদে তিনি মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে এসেছেন বাংলার মানুষের দুর্দশা-দুর্ভোগ লাঘবের জন্য।”