অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন। দায়িত্ব নিয়েই রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি আপিল বিভাগে মামলার শুনানিতে অংশ নেন। শুনানির শুরুতেই তাকে অভিনন্দন জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
পরে দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে আমি আপনাদের (গণমাধ্যম) সহযোগিতা চাই। আপনারা যদি আমাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তাহলে দুর্নীতি বন্ধ করা অনেক সহজ হবে। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে যেকোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ কমাতে সরকার প্রচলিত আইন সংশোধন করে সেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করতে যাচ্ছেন। আজই মন্ত্রীসভার বৈঠকে উঠবে বলে জেনেছি। আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হলে এ ধরনের অপরাধ অনেক কমে যাবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন আইনজীবী ও সামাজিক সংগঠন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মামলা জট কমানো। আমাদের দেশে অনেক মামলা বিচারাধীন। আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টে প্রায় চার হাজার মামলা নিষ্পত্তি করেছে। এখন আপিল বিভাগ পুরনো মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করব, হাইকোর্টেও যেসব পুরনো মামলা রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তি করার জন্য বেঞ্চগুলোকে যেন বিশেষ নির্দেশনা দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ষোড়শ সংশোধনী মামলার রিভিউ যেহেতু আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আপিল বিভাগ যখন মামলাটি শুনানির জন্য দিন ধার্য করবে তখন আমরা শুনানি করব।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অদক্ষতার কারণে যদি কোন মামলায় রাষ্ট্র হেরে যায় ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আমি সরকারের দৃষ্টিতে আনব। সরকার তখন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আমাদের কোনো আইন কর্মকর্তার অদক্ষতার কারণে যদি রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি হয় আমি বিষয়টি আইনমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনব।
তিনি বলেন, দক্ষতা ও সততায় প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এই অফিসটাকে, এই পদটাকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, আমি চেষ্টা করব সেটা ধরে রাখার জন্য। যে সেটা নিম্নগামী না হয়।