যশোরের অভয়নগরে প্রাইভেটকারে ট্রেনের ধাক্কায় চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নওয়াপাড়া ভৈরবব্রিজ রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। হতাহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী। নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের।
নিহতরা হলেন- নড়াইল শহরের ভোয়াখালির বাসিন্দা প্রকৌশলী হিরক (৪০), তার স্ত্রী শাওন (৩০), ভাতিজি রাইসা (৭) এবং হিরকের বন্ধু আশরাফুল (৪২)। এছাড়া আহত হয়েছে হিরকের শিশুকন্যা হুমায়রা (দেড় বছর) ও বোন শিল্পী। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নওয়াপাড়া রেল স্টেশন মাস্টার মহসীন রেজা বলেন, বিকেলে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নওয়াপাড়ায় ভৈরব ব্রিজের কাছে পৌঁছায়। ওইসময় ভৈরবব্রিজ থেকে প্রাইভেটকারটি যশোর-খুলনা মহসড়কের দিকে যাওয়ার জন্য রেলক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে নিহত হয় দু’জন। আহত অপর তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর এক শিশু এবং অপর একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইসরাত শারমিন জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে আনার পথে একটি শিশু মারা গেছে। আহত অপর তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, অভয়নগরের এলবি টাওয়ারে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে আসার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। নিহতদের ব্যাপারে জানতে নড়াইলে খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা আসলে বাকি পরিচয় জানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভৈরবব্রিজ সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে গেট থাকলেও নেই কোন গেটম্যান। ফলে ট্রেন চলাচলের সময় গেটটি খোলা পড়ে থাকে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যানবাহন। গেটম্যান নিযুক্তের দাবিতে বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানালেও গত দু’বছরে তাদের টনক নড়েনি।