বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও পাত্তাই পেলো না মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে শনিবার মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ১৩১ রানে হারিয়েছে নাজমুল একাদশ। ২৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৩১.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাহমুদউল্লাহ একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৩ রান। এ জয়ের ফলে ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেলো নাজমুল একাদশ।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই হোঁচট খায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ৩.২ ওভারে আল আমিনের বলে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে করেন ৪ রান; ১৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ইমরুলের ফেরার পর মুমিনুলের সঙ্গে ছন্দে ফেরার আভাস দেন লিটন দাস। ভালো শুরু করেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না। দলীয় ৩৯ রানে লিটনকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তরুণ বোলার নাসুম আহমেদ। পাঁচ বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ২৭ রান করেন লিটন।
দলের জন্য কিছুই করতে পারননি মুমিনুলও। ১৩ রানে মুমিনুলকে নিজের শিকার বানান আবু জায়েদ রাহি। দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহও। নাসুমের বলেই এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মাহমুদুল হাসানকেও আউট করেন নাসুম।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ একাদশ। শেষ পর্যন্ত ৩২.১ ওভারে ১৩৩ রানে থামে মাহমুদউল্লাহর দল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পেসারদের তোপের মুখে মাত্র ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারায় শান্ত একাদশ। কঠিন অবস্থায় দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন আফিফ। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে এ তরুণ করেন ১০৮ বলে ৯৮ রান। মাত্র ২ রানের জন্য হন সেঞ্চুরি বঞ্চিত।
১২ চার ও এক ছয়ের আফিফের অসাধারণ ইনিংসটি নাজমুল হোসেন শান্ত একদশকে এনে দেয় ২৬৪ লড়াকু পুঁজি। প্রেসিডেন্টস কাপে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। শুরুতেই দল ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম খেলেন ধীরলয়ে। ১ রান জীবন পাওয়া এ ব্যাটসম্যান আউট হন ফিফটি পেরিয়ে। ৯২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে চারের মার মোটে একটি।
আফিফ ও মুশফিক চতুর্থ উইকেট জুটিতে আগে ১৪৭ রান। তাতেই দলীয় আড়াইশর দিকে অগ্রসর হয়। এদিন এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ইরফান শুক্কুর। ২৮ বলে ৪৫ রান করে থাকেন অপরাজিত। এ বাঁহাতির ব্যাটে আসে ৪টি চার ও ২ ছক্কা। তৌহিদ হৃদয় ২৯ বলে দুই বাউন্ডারিতে করেন ২৭ রান।
শুরুর বিপর্যয়ের পরও ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলেছে শান্ত একাদশ। রুবেল হোসেন নিয়েছেন তিন উইকট। ইবাদত হোসেন দুটি ও সুমন খান নেন একটি উইকেট। সোমবার তামিম ইকবাল একাদশের বিপক্ষে খেলবে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। বুধবার শেষ ম্যাচে শান্ত একাদশের প্রতিপক্ষ তামিম একাদশ। শুক্রবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল।