তিন বিমানবন্দরের উন্নয়নে ৫৬৬ কোটি টাকার প্রকল্প

shiekh-hasina-ecnec-201020-01

যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণ নিশ্চিত করতে ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই তিন বিমানবন্দরের রানওয়ে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এজন্য ‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহী এর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় বলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম জানিয়েছেন ।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বাকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে অংশ নেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সচিব বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান। মন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে বৈঠক শুরু হয় বলে জানান তিনি।

সচিব বলেন, যশোর বিমানবন্দরে ২৮০ মিলিমিটার, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ২১০ মিলিমিটার এবং শাহ মখদুম বিমানবন্দরে ২৭০ মিলিমিটার পুরুত্বের অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ করা হবে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে বিমানবন্দরগুলোর এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং (এজিএল) সিস্টেমের আধুনিকায়ন, রানওয়ে সাইড-স্ট্রিপসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রতিটি বিমানবন্দরের জন্য পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতার একটি করে আধুনিক অগ্নিনির্বাপনী গাড়ি কেনা হবে।

পরিকল্পনা সচিব বলেন, “প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই তিন বিমানবন্দরে দিনের পাশাপাশি রাতেও বিমান উঠানামা করার জন্য রানওয়েতে প্রয়োজনীয় লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।”

বেসরকারি বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আগামী জানুয়ারি থেকে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সচিব বলেন, বৈঠকে এই প্রকল্পসহ এক হাজার ৬৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৫২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া বাকি তিন প্রকল্প হচ্ছে-

>> নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

>> মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। প্রকল্পটিতে ব্যয় বাড়ছে ৫৪৯ কোটি টাকা।

>> ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

Pin It