আলুর দাম বেঁধে দিয়ে কখনই মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আলুর দাম বেধে দিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত। এটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা। এতে গুটি কয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে আলু থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বুধবার দুপুরে তিনি রংপুরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই দেশে বিভিন্নভাবে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। আমরা বারবার এই প্রতিবাদ করেছি। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদণ্ড করার দাবি জানিয়েছি। তবে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণসহ যেকোনো অপরাধের যে অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক। ধনী হোক দরিদ্র হোক, কোন কিছুই দেখা উচিৎ না। আইন সকলের জন্যই সমান এবং সেটা যদি ব্যহত হয়, তাহলে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আমরা মনে করি এটি নিশ্চিত করবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, যখন সিন্ডিকেট চক্রটি আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তখনই বাজার মনিটরিং ও হিমাগারগুলোতে নজরদারি বাড়িয়ে সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতো না। এখানে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যর্থ। দাম বেঁধে দেয়ায় সিন্ডিকেটটি লাভবান হবে। তিনি বলেন মার্কেট কখনই সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কার্যকর হয় না। সরবরাহ না থাকলে দামত বাড়বে। সেটি নিশ্চিত না করে সরকার আলু দাম বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। আমি শুরু থেকেই বলেছিলাম এটি ভুল সিদ্ধান্ত এটি কার্যকর হবে না।
জিএম কাদের বলেন, আমি প্রথম দিন থেকেই বলেছিলাম, সরকার আলুর দাম বেধে দিলেই সেই দামে মার্কেট চলবে না। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে এটা হয় না। সরবরাহের সাথে চাহিদার সামঞ্জস্য করতে পারলেই কেবল দাম এমন একটি জায়গায় যাবে যেটি সঠিক।
এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন লিটন, রংপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, জেলা যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, জেলা ছাত্রসমাজের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আল আমীন সুমনসহ জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।