বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অটো প্রমোশনের সাম্প্রতিক সরকারি সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। অটোপাস বা বিনা পরীক্ষায় পাসে কোনো মর্যাদা নেই। পাকিস্তান আমলেও যারা বিনা পরীক্ষায় পাস করেছিল তাদের কোনো সামাজিক মর্যাদা ছিল না।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ‘পরীক্ষা ছাড়াই এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট :শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রভাব পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল আহসান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, কেউ বলেছেন অটোপাস, কেউ বলেছেন করোনাকালে করুণার পাস। কারণ সরকার অফিস আদালত চালু করে দিয়েছে, কলকারখানা, গণপরিবহন, দোকানপাট চালু করে দিয়েছে- সব কিছু চালু হয়েছে। সবই চলতে পারবে, শুধু পরীক্ষা নেওয়া চলতে পারবে না- এই যুক্তি ধোপে টিকবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরো না হলেও আংশিক পরীক্ষা নেওয়া যেত।
পাকিস্তান আমলে অটোপাসে শিক্ষার্থীদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, যারা সে সময় অটোপাস করে এমএ পরীক্ষা দিতে গেছেন বা ভর্তি হতে গেছেন, তাদের সমাজে কোনো মর্যাদা ছিল না। এমনকি বিয়েশাদিতে অটোপাস নিয়ে কথা হতো। এবারও তাই হবে এবং এবার আরও বেশি হবে। কারণ, এটা এইচএসসি। এরপর গ্রাজুয়েশন আছে, মাস্টার্স আছে। সব সময় তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। অটো প্রমোশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিরপেক্ষ শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন। দেশের এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
সংগঠনের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রইস উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোহেল রানা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।