জো বাইডেনের ঐতিহাসিক জয়

1604767249.bg

রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা আর একের পর এক নাটকীয়তার পর অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। এর মাধ্যমে বেজে উঠেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায় ঘণ্টা।

শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়েন নিশ্চিত করেছে, মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৮৪ পেয়ে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ টি ইলেকটোরাল ভোট।

গত ৩ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও গণনা শেষ করতেই এই কদিন পেরিয়ে গেছে।

এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে থেকে যাবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এত ভোট পড়েনি। এত টানটান উত্তেজনাও সম্ভবত ছিল না।

ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন মার্কিন জরিপে দেখা যায়, বাইডেন এগিয়ে আছেন। ঠিক তখন থেকেই ট্রাম্প নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মনগড়া মন্তব্য করতে থাকেন।

ভোটের দিনও দেখা যায় বাইডেন এগিয়ে। এ অবস্থায় কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই কারচুপির অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন। ভোট গণনা বন্ধ রাখার দাবি জানান। এক সময় তিনি নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। ভোট গণনা বন্ধ রাখার দাবিতে ট্রাম্প সমর্থকরা রাস্তায় সশস্ত্র বিক্ষোভ করেন।

ট্রাম্পের এসব কর্মকাণ্ড সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরস ছড়ায়।

এরইমধ্যে মিথ্যা বলার কারণে কয়েকটি মার্কিন টেলিভিশন তার ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।

অন্যদিকে জো বাইডেন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণের দেওয়া প্রত্যেকটি ভোটই গণনা করতে হবে। এই ভোটযুদ্ধে জিতলে তিনিই হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

ভোট গণনার শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছিল, বিভিন্ন জরিপের ধারণা অনুযায়ীই ইলেকটোরাল ভোট পাচ্ছেন ট্রাম্প, বাইডেন দুজনেই। কিন্তু ১০-১২টি রাজ্যকে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ময়দান বলে চিহ্নিত করা হয়। মূল লড়াইটাও হয়েছে আসলে সেসব রাজ্যেই।

এসব রাজ্যে খুবই কম ব্যবধানে একে অপরকে হারিয়েছেন দুই প্রার্থী। রুদ্ধশ্বাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল আসলে সে কারণেই। ভোট গণনার সময় শতাংশের হিসাবে একবার ট্রাম্প একবার বাইডেনকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এভাবেই চলতে থাকে।

মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, পোস্টাল ভোটের কারণেই ভোট গণনায় এত সময় লেগেছে। ৩ নভেম্বর ভোট হলেও পরের দুদিন থামেনি পোস্টাল ভোটের স্রোত।

Pin It