বাইডেনের সঙ্গে কাজ করতে চান বিল গেটস

image-363078-1604937194

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও তিনি অভিনন্দন জানান।

নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনবেন বলে গেটস আশা প্রকাশ করেন।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ট্রাম্পের প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপে বিল গেটস বেশ অস্বস্তি বোধ করছিলেন। করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার বিষয়ে তিনি যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন। এজন্য তিনি অনুদানও দেন।

বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী বিল গেটস টুইটবার্তায় বলেন, করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে আমি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্ব ও প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।

একই সঙ্গে তিনি দারিদ্র্যবিমোচন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং বৈষম্য নিরসনে বৈশ্বিক অংশীদারদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন।

টুইটবার্তায় বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের পাশাপাশি বিল গেটস নির্বাচনী কর্মকর্তা ও ডেমোক্র্যাট পার্টির কর্মীদের নিরলস কর্মতৎপরতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, যারা ‘যুক্তরাষ্ট্রের এক চ্যালেঞ্জিং সময়ে’ রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের ভোট প্রদান নিশ্চিত করেছেন তাদের ধন্যবাদ। বিবৃতি দিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ।

ফেসবুক পোস্টে শেরিল ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, কমলা হ্যারিসকে এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন। নেতৃত্বের কাচের সিলিং ভেঙে দেয়ার জন্য অভিনন্দন। ঐতিহাসিক এ মাইলফলক সৃষ্টির জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও অভিনন্দন।

এদিকে শনিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের শুভকামনায় সিক্ত হয়েছেন বাইডেন।

নিউইয়র্কভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও অর্থবিষয়ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যানের প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমন এক টুইটে বলেন, এখন আমাদের ঐক্যের সময়। আমাদের অবশ্যই নির্বাচনের ফলাফলকে সম্মান করতে হবে।

প্রতিটি নির্বাচনের মতোই ভোটারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার উত্তরণকে সমর্থন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তখনই শক্তিশালী দেশ, যখন আমরা পরস্পরের প্রতি মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করি। একটি সাধারণ লক্ষ নিয়ে প্রতিশ্রুতি ভাগ করে নিই। আমাদের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হই।

আমাদের রাজনৈতিকFF মতাদর্শ যা-ই হোক না কেন, দেশ গড়ার ক্ষেত্রে সবাই এক। এটাই অন্য দেশ থেকে মার্কিনদের আলাদা করেছে।

Pin It