চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ১০ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে।
এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরে ছিল ৬ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫০০ শতাংশ বেশি।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ১২ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।
আর জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি সংক্রান্ত সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, এই তিন মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য এক হাজার ৩৩০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কম।
এর মধ্যে পেঁয়াজ ছাড়াও চাল আমদানির এলসি বেড়েছে ৩১ দশমিক ৪২ শতাংশ, ভোজ্য তেল ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং ফল আমদানির এলসি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ।
অন্যদিকে চিনি আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। পেট্টোলিয়ামজাত পণ্য ৬০ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি কমেছে ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় গতবছরের মতো লাগামহীন হয়ে উঠতে শুরু করে এর বাজার।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে রাতারাতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৫৫/৬০ টাকা থেকে বেড়ে এক লাফে ১০০ টাকায় উঠে যায়।
আমদানি বাড়লেও এখনও সেই আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সোমবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাজরে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পেঁয়াজের অস্থির বাজার সুস্থির করতে গত ২০ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় সরকার।
২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এটা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
১৭ সেপ্টেম্বর এই পণ্যটির আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে মার্জিন বা নগদ জমার হার ‘ন্যূনতম পর্যায়ে’রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।