অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার মূল আসামি কারাগারে আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “মেজর সিনহা মারা গেছে, সারা দেশ উত্তাল হলো। ঘটনাস্থলে কে গেলেন? সেনা প্রধান গেলেন, কে গেলেন? আইজিপি গেলেন। মেজর সিনহা হত্যা হলো, গ্রেপ্তার হলো, সব কিছু হলো- মূল আসামি কি এখন কারাগারে আছে?
“একটু খোঁজ-খবর নেন, কারাগারে আছে কিনা। হয়ত পরবর্তী তারিখে বুঝা যাবে আদালতে হাজির করতে পারে কিনা কারা কর্তৃপক্ষ। তাহলে আমরা কোথায় আছি? একি দেশের স্বাধীনতা?”
গয়েশ্বর বলেন, “আজকে বাংলাদেশে বিশাল সেনাবাহিনী আছে, বিশাল বর্ডার গার্ড আছে। আজকে আমাদের সীমান্তে প্রতিদিন আমরা লাশ রিসিভ করি, প্রতিদিন গুলির আওয়াজ হয় একদিন থেকে, আমাদের দিক থেকে গুলি করা হয় না, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা গুলি করব না, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এখন গুলি ছুঁড়ে না। তাহলে বিদেশ থেকে এতো অস্ত্র-স্বস্ত্র কিনে কেন?
“সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের মারতাছে, বর্ডার কিলিং হচ্ছে, প্রতিবাদ নাই। এখন আমাদের যে সীমানা আছে তিন দিক দিয়া এখানে তো গার্ড রাখার দরকার নাই, কয়েকজন চৌকিদার হারিকেন দিইয়া দাঁড়ায় থাকলে চলে। যেহেতু প্রতিবাদ করার কিছু নাই, দেশে যা কিছু করতে পারে, ভেতরে ঢুকে যাকে তাকে ধরে নিতে পারে, মানুষকে যখন-তখন কুকুরের মতো গুলি করতে পারে তাহলে আজকে আধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে আমরা কী করছি? কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি? আমরা তো যুদ্ধ করছি না, পণ করছি যুদ্ধ করবো না।”
জাতীয়ে প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ফরিদ উদ্দিন, তাঁতী দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ওবায়দুর রহমান টিপু, জাতীয় গণতান্ত্রিক মঞ্চের ইসমাইল তালুদার খোকন বক্তব্য দেন।