কানাডার বহুল আলোচিত ‘বেগমপাড়ার সাহেবদের’ ধরা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বেগমপাড়ার সাহেবদের ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ ব্যাপারে সার্বিক তদন্ত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ‘বেগমপাড়ায় যারা অর্থ পাচার করেছেন, তাদের মধ্যে সরকারি আমলার সংখ্যা বেশি’- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সেখানে অর্থ পাচার করেছেন, তাদের পরিচয় অর্থ পাচারকারী। তারা যেই হোন, ধরা হবে।
দলীয় পরিচয় কারও আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, অপকর্ম করলে যেই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপকর্মকারীদের বিষয়ে সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। দলও এখন কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।
সম্প্রতি দুই জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলায় কিছু অন্তর্কলহ আছে, সেগুলো তারা দূর করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং সামাল দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে সেখানে নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউই অপরিহার্য নন। কাউকে কোনো পদ চিরস্থায়ী লিজও দেওয়া হয়নি।
প্রথম ধাপের ২৫টি পৌরসভায় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে আগামী ২৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জন্য একটা বার্তা যাচ্ছে। দলের নিয়ম যারা মানবেন না, তারা কেউই পার পাবেন না।
বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হওয়া নিক্সন চৌধুরীকে যুবলীগের কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বিদ্রোহী হবেন না- এই শর্তে তারা দলীয় সভাপতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তাদের ক্ষমা করা হয়েছে।
মাদক, অস্ত্র, কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’-এর সহযোগীদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক কিংবা কোন কোন এমপির সঙ্গে তার যোগাযোগ, এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি খারাপ হলে প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনার বিষয়ে প্রয়োজনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পুরো লকডাউন সম্ভব নয়। পাকিস্তান করতে পারেনি, ভারত যা করেছে তাতেও লাভ হয়নি।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসছে না বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেবল ধর্ম মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে এ মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় কোনো পরিবর্তনের কথা আমার জানা নেই।