স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপর অনাস্থা এনে কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এই দাবি উঠেছে বলে সোমবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অযোগ্যতার কারণে জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে না পারলে জনগণ উপকৃত হবে না। বরং ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করবে।
“বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষে এই ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে পালন করা সম্ভব নয় বলে এই কাজে সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব প্রদান করা উচিত। বেশ কয়েকটি উন্নত দেশেও সশস্ত্র বাহিনীকে এই কাজে লাগানো হয়েছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটি টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষন ও বিতরণের পুরো পরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রায় ১৬ কোটি মানুষের জন্য ৩২ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োজন হবে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশে চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। অনেক দেশের সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে।
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের দায়িত্বহীন সরকার এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, তা স্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছে না। বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তুলে ধরছে।”
টিকা সংরক্ষণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সেই ব্যবস্থা আগে থেকে করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় রাজধানীতে কয়েকটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ আখ্যায়িত করে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করার দাবিও জানানো হয়েছে।
রোববার বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির এই ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।
বৈঠকে মহাসচিব ফখরুল ছাড়াও খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।