তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক ধরনের মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশে ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা দেশে মাঝে মধ্যে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীর ফণা তোলার চেষ্টা করে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। সেখানে কোনো ধরনের অপশক্তি স্থান দেওয়া হবে না।
সোমবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে গণতন্ত্র নির্বাসিত এবং দেশকে কারাগার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা অতীতে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, যাদের জন্ম অগণতান্ত্রিকভাবে সেনা ছাউনিতে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন গণতন্ত্রমনা মানুষ ও দেশের মানুষ হাসে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছেন। আর যেসব রাজনীতিবিদ সে সময় ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট নিতে সমবেত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব একজন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে আইনের আওতায় আনা হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের মৌলবাদী গোষ্ঠীকে একটি দল রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। তারা যদি এ পৃষ্ঠপোষকতা না পেত, তাহলে মাঝে মধ্যে এ রকম ফণা তোলার অপচেষ্টা করা সম্ভবপর হতো না। ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর মানেই আইনের আওতায় আনা।
‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর আত্মঘাতী হবে’ মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানন্তর করা হচ্ছে। এতে সমগ্র দেশের মানুষসহ রোহিঙ্গারাও স্বাগত জানিয়েছে। যেসব রোহিঙ্গা সেখানে গেছেন, তারা অত্যন্ত খুশি হয়ে বলেছেন, দেশে ফেরত না যাওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকতে চান। এখন বিএনপির এই মন্তব্যে মনে হয় রোহিঙ্গারা ভালো থাকুক সেটা তারা চায় না। প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা ইস্যুটা টিকে থাকুক সেটা তারা চায়।