‘লক্ষ্মীসোনা ভাই-বোনেরা গোল করো না কোনো/ রূপকথা নয়, সত্যিকারের গল্প বলি শোনো/ সন্ধ্যা-রাতে জোনাক জ্বালায় আলোক থোকা থোকা/ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিলো সোনার ছেলে খোকা।’
২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেরিয়েছিলো বইটা। এরপর উনিশ বছর ধরে আউট অব প্রিন্ট। অবশেষে মুজিববর্ষের বিশেষ প্রকাশনা হিসেবে সম্পূর্ণ রঙিন ২৪ পৃষ্ঠার পিন-বাঁধাই এ বইটি প্রকাশ করেছে ‘শ্রাবণ প্রকাশনী’।
মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ বইটি যেন শিল্পী হাশেম খান ও ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের যুগলবন্দি। আমাদের শিশু-সাহিত্যের ভুবনটাকে রঙে-রেখায়-আঁকায়-লেখায় বর্ণিল করে রেখেছেন শিল্পী হাশেম খান আর ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। এ দুজন মানুষের মেধার দীপ্তি আর স্বপ্ন সাধনার রঙিন আলোর ঝলকানিতে আরও ঝলমলে হয়ে উঠেছে ছোটদের পৃথিবী।
ছোটদের জগতটাকে রাঙিয়ে দিতে জুড়ি নেই এ দুই কুশীলবের। লুৎফর রহমান রিটনের লেখার সঙ্গে হাশেম খানের ছবি কিংবা হাশেম খানের ছবির সঙ্গে লুৎফর রহমান রিটনের লেখা যেনো বা সোনার হাতে সোনার কাঁকন। অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়েছে এ দুজনের যৌথ স্বাক্ষরে। ‘সোনার ছেলে খোকা’ তেমনি একটি বই।
এক বইতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনটাকে তুলে এনেছেন এ দুই মেধাবী মানুষ। আমাদের শিশু-সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন এ বই। লেখা ও ছবি দুই কারণেই বইটি সংগ্রহ ও সংরক্ষণযোগ্য। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্য এ এক অনিন্দ্যসুন্দর উপহার।
ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন বলেন, “বইটির সবগুলো পাতায় রঙিন ছবি। পাতায় পাতায় শিল্পী হাশেম খানের বিস্ময়কর ইলাস্ট্রশন বা নকশা। এক বইতেই বঙ্গবন্ধু। এক বইতেই মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা।”
বইটির প্রকাশক রবীন আহসান বলেন, “এবছর করোনাভাইরাস মহামারী না থাকলে এ বইটা শ্রাবণ প্রকাশনী ৫০ হাজার কপি ছাপতো। তবু এ বই সাহস করে ৪ হাজার কপি ছাপলাম। দেখি কী হয়।”
তিনি জানান, শিশু-কিশোরদের জন্য অভিভাবকরা বইটি কিনতে পারবেন ঘরে বসে ডেলিভারি চার্জসহ মাত্র ৯০ টাকায়। বইটি যারা ঘরে বসে পেতে চান তারা ০১৭১৫৭৫১১১৭ এ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।