সাত ম্যাচে চারটি জয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের প্লে-অফে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছিল জেমকন খুলনা। প্লে-অফে উন্নীত হওয়ার কারণেই কিনা বেশ নির্ভার দেখাল খুলনা শিবিরকে। একাদশের নিয়মিত মুখ ইমরুল কায়েস, আল-আমিন হোসেনকে বিশ্রাম দিয়েছিল দলটি। নাজমুল অপু, শহীদুলকে একাদশে রেখে বোলিংয়ে বেক্সিমকো ঢাকার বড় স্কোর আটকাতে পারেনি তারা। পরে ব্যাটিংয়ে সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহদের ব্যর্থতায় হার দিয়ে লিগ পর্ব শেষ করেছে খুলনা।
বৃহস্পতিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢাকার কাছে ২০ রানে হেরেছে খুলনা। আট ম্যাচে তাদের জয় ৪টি। সাত ম্যাচে ঢাকাও ৪টি জয় পেয়েছে। এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টের পেল-অফের তিন দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা প্লে-অফের টিকিট পেয়ে গেছে।
ইনফর্ম ঢাকা ও শক্তিশালী খুলনার জমজমাট লড়াইয়ের আশা করেছিলেন সবাই। কিন্তু খুলনার আয়েশি পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে উঠেনি। জয়ের চেষ্টাই দেখা যায়নি মাহমুদউল্লাহর দলে। টুর্নামেন্ট জুড়ে রানের জন্য সংগ্রাম করা সাব্বির রহমানের হাফ সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাট করা ঢাকা ৭ উইকেটে ১৭৯ রান তুলেছিল। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অলআউট হয় খুলনা। টুর্নামেন্টের প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন রবিউল ইসলাম রবি। ঢাকার এই অফস্পিনার ২৭ রানে নেন ৫ উইকেট।
সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে চারটি ছক্কাসহ ২৬ রান তোলে ঢাকাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন নাঈম শেখ। ১৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হলেও নাঈমের ঝড়ই ঢাকার ইনিংসের গতিপথ ঠিক করে দেয়। পরে সাব্বির ৩৮ বলে ৫৬, আল-আমিন জুনিয়র ৩৬ রান করেন। শেষ দিকে আকবর আলী ১৪ বলে ৩১ রান করেন। খুলনার পক্ষে শহীদুল ২টি, মাশরাফি, হাসান মাহমুদ, নাজমুল অপু ১টি করে উইকেট পান।
খুলনার ইনিংসে চারজন মাত্র দুঅঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। ওপেনিংয়ে জহুরুল ৫৩, মাহমুদউল্লাহ ২৩, শামীম ২৪, হাসান মাহমুদ অপরাজিত ১৫ রান করেন। তিনে নামা সাকিব ৮, পাঁচে আসা মাশরাফি ১ রান করেন। রুবেল, মুক্তার আলী ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা: ২০ ওভারে ১৭৯/৭
খুলনা: ১৯.৩ ওভারে ১৫৯
ফল: ঢাকা ২০ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: রবিউল ইসলাম রবি (ঢাকা)