অবশেষে এক হচ্ছে গণফোরাম

1607846502.image-287238-1583792390

নানা চড়াই-উৎরাই বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কারের পর অবশেষে এক হতে যাচ্ছে গণফোরাম।

ইতোমধ্যে গণফোরামের দুই অংশ আলাদা কাউন্সিলের ঘোষণা দিলেও তা আর হচ্ছে না।

চলতি মাসের আগামী ১৯ তারিখে উভয়পক্ষ বৈঠক করে নতুন কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) গণফোরামের একাংশের নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ড. কামাল হোসেনের একটি বিবৃতির অপেক্ষায় ছিলাম। তিনি সে বিবৃতি আজকে (রোববার) দিয়েছেন। এখন আমরা বসে নতুন কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করবো। উভয়পক্ষের কাউন্সিল একইসঙ্গে হবে।

এদিকে রোববার দুপুরে ড. কামাল হোসেনের সেক্রেটারি মো. শাহজাহান দলীয় প্যাডে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি গণফোরামের অভ্যন্তরে ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যার সমাধানকল্পে সব সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা হবে।

ইতোমধ্যে দলের মধ্যে যে বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার হয়েছে তা অকার্যকর বলে গণ্য হবে জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল হোসেনের ওই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে, অপর অংশের নেতৃত্ব দেওয়া মোস্তফা মোহসীন মন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ড. কামাল হোসেনের এই বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় ছিলাম। এখন আর সমস্যা নেই।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের বর্ধিত সভা ডেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, হেলালউদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, খান সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়।

একইসঙ্গে ১২ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দেয় ড. কামাল হোসেনের মূল গণফোরাম।  অপরদিকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণফোরামের একদল নেতাকর্মীকে নিয়ে বর্ধিত সভা করেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু গ্রুপ। তারা ২৬ ডিসেম্বের গণফোরামের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। এজন্য ২১০ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও গঠন করা হয়।

ওই সভা থেকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অবিভক্ত দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মহসিন রশিদ, আওম শফিক উল্লাহ ও মোশতাক আহমেদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও অনুমোদন করা হয়।

এনিয়ে দলের মধ্যে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে ঠাণ্ডা লড়াই চলতে থাকে। ভেতরে ভেতরে দুই পক্ষকে এক করার জন্যও একটি অংশ কাজ করতে থাকে।

ড. কামাল হোসেনের বাসায় কয়েক দফা বৈঠকের পর উভয়পক্ষ একসঙ্গে কাউন্সিল করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।

জানতে চাইলে, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোশতাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেটাই আমাদের সবার বক্তব্য। আমরা উভয়পক্ষ এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উভয়পক্ষের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে পরবর্তী কর্মপদ্ধতি ঠিক হবে। আশা করি উভয়পক্ষ একটি কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি হবে’।

Pin It