মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি, তবে তাদের আন্তরিকতার অভাব। তাই এ কারণে মিয়ানমারের কারণে রোহিঙ্গাদের পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। মিয়ানমার একটার পর একটা ইস্যু নিয়ে আসায় গত সাড়ে ৩ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নিয়ে যায়নি বলে জানান তিনি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটি চিংলা মং মারি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ইতিপূর্বে মিয়ানমারের সাথে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে উল্লেখ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নির্বাচন এবং কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে আর কোন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে আগামী ১৯ জানুয়ারি চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে পুনরায় আলোচনার দিন নির্ধারণ রয়েছে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার বার বার অঙ্গিকার করেছে তারা যখনই ব্যবহার করবেন বাংলাদেশও সাথে সাথে এই ভ্যাকসিন পাবে। এই ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। আমরা ভারতকে বিশ্বাস করতে চাই, ভারতের এই ব্যাপারে বার বার আলোচনা হয়েছে তারা আমাদের নিশ্চয়তা দিয়ে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তারাও ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুনঃ ‘সন্তানের দায়িত্ব নিতে না পারলে জন্ম দিয়েছেন কেন’
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে তিন পার্বত্য জেলায় বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এই উৎসবের আয়োজন করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনে সভাপতি নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইফতেখারুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম নিজামী, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ, কে, এম মামুনুর রশিদ, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভালে রয়েছে পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্র্যাকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্সসহ বিভিন্ন ইভেন্ট।
১১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব চলবে। প্রতিযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় হতে ৫০ জন ও সমতল থেকে ৫০জন সর্বমোট ১০০জন যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অ্যাডভেঞ্চারার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।