বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে জনগণের ভোটে হারজিৎ নির্ধারিত হয় না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পোস্ট বক্স মাত্র। তাদের কাজ হচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে পাঠানো তালিকা প্রকাশ করা। এ খেলার মাস্টারমাইন্ড সরকার আর খেলোয়াড় হিসেবে আছে পুলিশ প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন সরকারের হাতের পুতুল।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ৬০টি পৌরসভায় আগের মতোই ব্যাপক সহিংসতা, রক্তপাত ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন করেছে ক্ষমতাসীনরা। সর্বত্র কেন্দ্র দখল করে, ভোট কারসাজির ডিজিটাল মেশিন ইভিএম দিয়ে প্রকাশ্যে কারচুপি করা হয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত এসব একতরফা নির্বাচনকে একটু রমরমা করতেই এবার ‘মডেল’ ছিলেন বসুরহাটের প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা। আওয়ামী লীগের এই নাটক মানুষ আগেই টের পেয়েছে।
পৌর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রচুর ভোটার উপস্থিতি ছিল, ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে- নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের এ ধরনের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সরকারের কাছে আত্মা বিক্রি করলেই শুধু এমন নগদ মিথ্যা বলা যায়। এই কমিশন সরকারের ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। বরাবরের মতোই শনিবারের পৌর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নির্লজ্জ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।