সকল মানুষের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা চাই যে, এদেশের সমস্ত মানুষ টিকা পাক। আমরা প্রথমেই বলেছি, এদেশের মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিতে হবে।
“আমরা আবারো বলছি, টিকা এদেশের মানুষ নেবে। তবে এই টিকায় আস্থা আনতে হবে এবং একই সঙ্গে সেটাকে বিনামূল্যে মানুষকে দিতে হবে।”
সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রোডম্যাপ সরকার প্রণয়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
জাতীয় প্রেস ক্লা্ব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘গণঅভ্যত্থানে দিবসের ডাক স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শীর্ষ এই আলোচনা সভা হয়।
সভায় গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা জনগণের অধিকার রয়েছে। এই টিকা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
“এটা ব্যক্তি বিশেষ ২/৪ জনকে নয়, এই টিকা সবাইকে দিতে হবে। রিকসাওয়ালা, কৃষক, আমার ফুটপাতের দোকানদারসহ সকলে যাতে টিকা দিতে হবে। আজকে এখানে নেতারা আছে, টিকার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে- বিনামূল্যে আমরা টিকা চাই।”
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই সরকার গণতন্ত্র দেবে না? দেবে না। মানুষের ভোটেরে অধিকার দেবে? দেবে না। যেভাবে পারে সেইভাবেই তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখন প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবাইকে নসিহত করছেন- দীর্ঘকাল ক্ষমতায় ছিলাম বলে দেশের উন্নতি করতে পেরেছি। তার মানে আরো দীর্ঘকাল উনি ক্ষমতায় থাকতে চান।
“আরো দীর্ঘকাল তাকে ক্ষমতায় থাকতে দেবেন? ওকে বিদায় করবে কীভাবে? উনি এমনে যাবেন, ভোট দিলে যাবেন? অতএব একটাই পথ আছে, আমরা মনে করি, আরেকটা অভ্যুত্থান লাগবে। ৬৯ এর মতো, ২৪ জানুয়ারির মতো। গণঅভ্যুত্থান যেরকম হয়েছিলো সেরকম অভ্যুত্থান করে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।”
মান্নার সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বিএনপির শওকত মাহমুদ, গণসংহতি জুনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান বক্তব্য দেন।