আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্পকে পেছনে ফেললেন বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি।
মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রায় চুয়ান্ন শতাংশ মানুষ নতুন প্রেসিডেন্টকে ইতিমধ্যেই কাজের মানুষ হিসেবে মেনে নিয়েছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সমীক্ষায় কখনই ৪০শতাংশের ওপরে উঠতে পারেননি। এমনকি তাঁর শাসনকালের শেষদিকে ওই গ্রাফ নেমে দাঁড়িয়েছিল ৩০শতাংশে। যা আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নতম। এছাড়াও মর্নিং কনসালটেন্ট এবং হিল হারিক্স নামক দুটি সংস্থার চালানো সমীক্ষায় নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৬০ শতাংশের ওপর ভোট পেয়েছেন। তবে নিজেকে নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ বাইডেন।
চেয়ারে বসার আগেই ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, দুর্ভোগ, বর্ণবিদ্বেষ এবং বেকারত্ব দূর করাকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেমন কৃষ্ণাঙ্গদের জায়গা দিয়েছেন, তেমনই এশিয়ান তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সমান গুরুত্ব দিয়েছেন বাইডেন। পাশাপাশি করোনা নিয়ন্ত্রণে আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করে ইঙ্গিত দিয়েছেন ভালো কাজ করার।
এই মুহূর্তে আমেরিকা যে ধরণের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা আগে কখনও ঘটেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত কঠিন অবস্থায় পড়েনি মার্কিনরা। সময় কম, সামনে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ। যে স্বপ্ন দেখে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পদে তিনি বসেছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি দেশের ভেঙেপড়া অর্থনীতি পুনর্জীবিত করা, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং আবহাওয়া পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমেরিকা।