আ’লীগে ‘ফ্রি স্টাইলে’ কিছু করা যাবে না: কাদের

image-216102-1611220971

দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলে ‘ফ্রি স্টাইলে’ কোনো কিছুই  করা যাবে না বলে নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন তিনি।

নবনিযুক্ত উপকমিটির নেতাদের দলের শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন মেনে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকবেন তাদের বাদ দিতে হবে। ফ্রি স্টাইলে কোনো কিছুই করা যাবে না। একজন ব্যক্তি একাধিক কমিটিতে থাকতে পারবেন না। আগে যদি কোনো সহযোগী বা অন্য কোনো কমিটিতে নাম থাকে, তাহলে পদত্যাগ করে আসতে হবে।

তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে নারীবান্ধব সরকার হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে নারী অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগে তাদের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও কঠোর হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং এখনও মাঠে আছেন তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট। বিদ্রোহীদের যারা মদদ অথবা উস্কানি দিচ্ছেন তাদেরও একই শাস্তি পেতে হবে। বিদ্রোহী ও উস্কানিদাতারা অনতিবিলম্ব সরে দাঁড়ান, না হয় দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিএনপি নেতাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে এবং নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করলেই বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। তারা নামে মাত্র নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।

বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেখানে কেন্দ্রে তাদের এজেন্টই ছিল না সেখানে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ অবান্তর ও ভিত্তিহীন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে মির্জা ফখরুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য শিষ্টাচার বহির্ভূত। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন তা বিএনপির আমলেও পাননি।

Pin It