ঋতুপর্ণাকে চান শ্রীলেখা মিত্র

sreelekha-mitra-120221-01

নতুন ছবিতে কাজের জন্য ঋতুপর্ণাকে চান শ্রীলেখা, না হলে দিয়া মির্জা কিংবা উর্মিলাকে প্রস্তাব দেবেন।

কলকাতার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ‘বিটার হাফ’ ছবির দিয়ে পরিচালনার জগতে নাম লিখিয়েছেন। এই ছবির কাজ শেষ করতে না করতেই আরেকটা ছবির চিত্রনাট্যও শেষ করে এনেছেন তিনি। আর নতুন ছবির কাহিনী নিয়ে কাজ করার সময় কলকাতার আরেক অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার কথাই বার বার মনে আসছিল তার।

তাই টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “চিত্রনাট্য তৈরির সময় তো মাথায় ঋতুপর্ণার কথাই ঘুরছিল। তাই তাকেই প্রস্তাব দিতে চাই।”

তবে শ্রীলেখার প্রস্তাবে ঋতু রাজি হবেন কিনা তা এখনও জানেন না শ্রীলেখা।

কারণ গতবছর সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যখন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি চলছে, ঠিক তখনই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে জড়িয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছিলেন শ্রীলেখা। বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতেও যে ‘নেপোটিজম’ শব্দটি বিদ্যমান, সে প্রসঙ্গ তিনিই প্রথম উত্থাপন করেন। যার ফলাফলে পানিও ঘোলা হয়েছিল অনেক। সেই সময় ঋতুপর্ণা সিঙ্গাপুরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। আর শ্রীলেখার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনোরকম মন্তব্যও করেননি তিনি।

তবে সেই কথা ‘অতীত’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শ্রীলেখা বলেন, “পেশাদারিত্বের জায়গায় মন কষাকষির কোনো জায়গা না থাকাই বাঞ্ছনীয়। একান্তই যদি ঋতু রাজি না হয় সেক্ষেত্রে বলিউডের উর্মিলা মাতন্ডকার কিংবা দিয়া মির্জার কথা ভেবে রেখেছি।”

স্বল্পদৈর্ঘ্যের ‘বিটার হাফ’ ছবি দিয়ে পরিচালনায় হাতেখড়ি হওয়া, একই সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শ্রীলেখা বলেন, “শুধু অভিনয় আর পরিচালনা নয়, শিল্প নির্দেশনা ও পোশাক পরিকল্পনাও করেছি আমি। আসলে আমার মাথাতেই আঁকা ছিল কী করতে হবে, তাই কাজ করতে কোনো অসুবিধাই হয়নি।”

আধুনিক এই যুগে মানুষের আবেগ ‍শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের জায়গা হয়ে গিয়েছে। অথচ বাস্তবের মানুষের সঙ্গে সেই আবেগ আর নেই। এরকম পরিস্থিতিতে একটি সংসারে ‘বেটার হাফ’ থেকে কীভাবে ‘বিটার হাফ’য়ের রূপান্তরিত হয়ে, সেটা নিয়েই এগিয়েছে কাহিনী। এতে আরও অভিনয় করেছেন ভারত কাউল এবং চান্দ্রী মুখোপাধ্যায়।

অন্যদিকে শ্রীলেখা অভিনীত সাম্প্রতিক ছবির মধ্যে আছে অনিক দত্ত পরিচালিত ‘বরুণ বাবুর বন্ধু’।

Pin It