পাহাড়ে খালি সেনাক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

image-226010-1614571018

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে আধুনিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী আর্মি ক্যাম্প স্থাপন করেছিল সেগুলো তারা ছেড়ে আসছে। সেসব ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে জেএসএস চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় মাঝেমধ্যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা চলছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন এ জায়গাটায় লক্ষ্য রাখতে। আমরা একজন অতিরিক্ত সচিবের মাধ্যমে তিনটি জেলায় কোথায় কী হচ্ছে তার একটি প্রতিবেদন করা হয়েছে। সেখানে কিছু সুপারিশও ছিল। আমাদের যত স্টেক হোল্ডার ছিল তাদের সবার সঙ্গে আলাপ করেছি। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়েছে। কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। সে বিষয়ে সন্তু লারমা আমাদের বলেছেন, তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।

পাহাড়ে চাঁদাবাজি বেড়ে যাচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে আমরা সন্তু লারমার সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে বলেছি, পাহাড়ে খুনখারাবি শুধু নয়, চাঁদাবাজিও হচ্ছে। সব বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন সন্তু লারমা।

ওআইভিএস উদ্বোধন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে র্যাবের শহিদদের আত্মত্যাগ স্মরণে নির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী সাহসে মানুষের পাশে’ বিজ্ঞাপনচিত্র এবং অনসাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস) উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের ডিজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।

র‌্যাবের এ সফটওয়ার উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র‌্যাব দক্ষতার সঙ্গে মানুষের আস্থার জায়গাটি দখল করে নিয়েছে। জলদস্যু, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমনেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে তারা।

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে, বিভিন্ন বন্দুকযুদ্ধে শুধু অপরাধীরা হতাহত হয়। এটা ঠিক নয়। অপরাধীরা যখন চলাচল করে তখন তারা অস্ত্র নিয়ে চলে। তাদের যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করেন, তখন তারা ফায়ার করে। আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ফায়ার করে। এসব ঘটনায় র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও হতাহত হন। এ পর্যন্ত র‌্যাবের ২৮ জন নিহত হয়েছেন। পাঁচ শতাধিক সদস্য আহত ও পঙ্গু হয়েছেন।

Pin It