গত এক দশকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৮০ ভাগ। একইসময়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় অর্থনীতির দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের রপ্তানি শুধুই কমেছে। বুধবার (৩ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম ছিল। এই ঘাটতি পুষিয়ে গতবছর দেশটিকে ধরে ফেলেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার উঠতি অর্থনৈতিক শক্তি এখন এদেশ। দক্ষিণ কোরিয়া,ভিয়েতনাম ও চীনের মতো রপ্তানিই বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়নের শক্তি।
বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পোশাক রপ্তানি বাড়ার পেছনের অন্যতম কারণ বিপুল পরিমাণ নারী শ্রমিক এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অল্প মজুরি। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রম ক্ষেত্রে নারীদের এমন উপস্থিতি চোখে পড়ে না।
তবে সুখবরের পাশাপাশি আছে শঙ্কাও। বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়লেও তা ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়াকে ছাড়াতে পারেনি। গত এক দশকে এই দেশগুলোর রপ্তানি যথাক্রমে তিনগুণ ও দ্বিগুণ বেড়েছে। এখানে ভারতের কথা মনে করা যেতে পারে। ২০০০ সালের দিকে ভারতের রপ্তানিও হঠাৎ বহুগুণ বেড়েছিল। তারপর তা এক জায়গায় আটকে যায়। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে রপ্তানির হার সবসময় বাড়বেই এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বাংলাদেশও ভারতের মতো এমন জায়গায় নেমে যেতে পারে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে তৈরি পোশাক বাদে অন্য তেমন কোনো খাত নেই। এ সমস্যা এড়াতে ভিয়েতনামের পথ অনুসরণ করা উচিত বাংলাদেশের। একটি খাত থেকে বেরিয়ে উচ্চ চাহিদার অন্যান্য রপ্তানি খাতেও অংশ নিতে দেশি ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে হবে। এমতাবস্থায় গত সপ্তাহে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তালিকাভুক্তি বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি আরও বাড়াবে বলেই আশা করা যায়।