ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় সফর ঘিরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মোদীবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসময় পুলিশ ও হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের সাথে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানা ঘেরাও করে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে ৬ পুলিশ আহত হয়েছেন।
হেফাজতের তান্ডবে পুলিশের ব্যবহৃত একটি পুলিশভ্যান ও দুইটি মটর সাইকেল সহ সার্কেল অফিস, ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়সহ থানার প্রবেশের মেইনগেট ভেঙে চুরমার করা হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪৫ রাউন্ড ফাকা গুলি চালায়।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, হেফাজতের তান্ডবে আমাদের ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সেই সাথে তারা থানার অভ্যন্তরে ও মেইন গেট ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনা শনিবার(২৭ মার্চ) খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান, র্যাব-৮ এর কোম্পানী অধিনায়ক খোরশেদ আলম, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাঝে বক্তব্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান। তিনি বলেন, দুপুরের জহুরের নামায পড়ে হেফাজতের কর্মীরা একটি মিছিল বিশ্বরোড চৌরাস্তা হতে এসে ভাঙ্গা বাজারে প্রবেশ করে। হেফাজতের কর্মীদের কারনে হাই-ওয়েতে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ তাদেরকে সরে যেতে বললে হেফাজতের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায় ঈদগাহ কাসেমুল উলুম মাদ্রসার প্রান্ত থেকে। সেখানে আমাদের পুলিশ তাদের শান্ত করতে চেষ্টা করলে তার ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশের উপর ইট নিক্ষেপ সহ সরাসরি থানায় হামলা ও ভাংচুর চালায়। থানার অভ্যন্তরে তারা বেশ ক্ষতি সাধন করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাঙ্গা ঈদগাহ মাদ্রাসার মোহতামিম তল্লা হুজুরকে থানায় এনেছি। বাকিটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।