স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে কোনো অক্সিজেন সংকট নেই। আমাদের দেশের অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা অন্য কোনো দেশের উপর নির্ভর করে না। সারা বছর ভারত বা অন্য কোনো দেশ থেকে অক্সিজেন আমদানির প্রয়োজন পড়েনি। করোনা পরিস্থিতিতে একবার ভারত থেকে কিছু অক্সিজেন আমদানি করা হয়েছিল। এখন ভারতের কঠিন সময় যাচ্ছে। এই সংকটে ভারত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করলেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।’
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ‘কোভিড-১৯, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও জনসচেতনতা’ শীর্ষক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লিকুইড অক্সিজেনের তুলনায় গ্যাস অক্সিজেনের উত্পাদনে আমাদের সক্ষমতা অনেক বেশি। গ্যাস অক্সিজেনে এখন দিনে ২৫০ টন পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। লিকুইড অক্সিজেন ১৫০ থেকে ২০০ টন উৎপাদন হয়। দেশের বেসরকারি মেডিক্যাল খাতেও ৪০-৫০ টন অক্সিজেন উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোকেও নেওয়া যাবে। দেশে বর্তমানে দৈনিক চাহিদা ১০০ থেকে ১৫০ টন মাত্র। অর্থাৎ চাহিদা দ্বিগুণ হলেও অক্সিজেন সংকট এই মুহূর্তে হবে না। তবে রোগী সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেলে তখন ভিন্ন চিত্র দেখা দিতে পারে। এজন্য রোগী যাতে না বাড়ে সেদিকে সবার মনোযোগী হতে হবে।
ভারতের সংকটকালীন সময়ে চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে না পারলে বা বিলম্বে দিলে সেজন্য সরকার বসে থাকছে না, বরং সরকার চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে কুটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই আশানুরূপ কিছু পাওয়া যেতে পারে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে লকডাউন কাজে লাগছে। এর ফলে সংক্রমণ কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে লকডাউনের কারণে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখছে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করেই করোনা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের কাজগুলোকে মূল্যায়ন করে তাদের আরো উৎসাহ দেওয়ার কথা জানান।