নিজের পাশাপাশি পরিবারের সকলকে সুরক্ষিত রাখার উপায়গুলো জানা থাকা চাই।
ঘরেই যদি একজন কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত রোগী থাকেন তবে রোগীর সেবা করার পাশাপাশি নিজেকে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টাও করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য) জানিয়েছেন এমতাবস্থায় করণীয় সম্পর্কে।
মাস্ক পরতে হবে: রোগীকে আলাদা ঘরে রাখলেও এসময় ঘরের প্রতিটি মানুষের অবশ্যই সবসময় মাস্ক পরতে হবে। আর কোনোরকম পরলেই হবে না, মুখের সঙ্গে আঁটসাঁট হয়ে বসে এমন মাস্ক পরতে হবে। ধুয়ে একাধিকবার পরা যায় এমন মাস্কের ক্ষেত্রে দুটি মাস্ক পরা ভালো।
ঘরের মধ্যে সারাদিন মাস্ক পরে থাকতে অস্বস্তি হবে এমনটাই স্বাভাবিক। তবে তা সহ্য করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। চেষ্টা করতে হবে মাস্কটি স্পর্শ না করার। কারণ তার বাইরের অংশে ভাইরাস লেগে থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
মাস্ক টানাটানি করা যাবেনা। আর স্পর্শ করলে কিংবা খুলে রাখার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
হাত ধোয়া বাড়াতে হবে: রোগীর পরিচর্যা যারা করবেন তাদের সকল কাজের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে অবশ্যই। হ্যান্ড স্যানিটাইজার সর্বক্ষণ তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। হাত জীবণুমুক্ত না করে কোনো অবস্থাতেই চোখ, মুখ, নাক স্পর্শ করা যাবে না।
ব্যবহৃত কাপড় জিনিস পত্র: প্রথমত রোগী যদি নিজের ব্যবহৃত কাপড় ও থালাবাসন নিজেই পরিষ্কার করতে পারে তবে ভালো হয়। না পারলে রোগীর থালা বাসন আলাদা রাখতে হবে। এঁটো বাসন আলাদা রাখতে হবে এবং তা আলাদাভাবে ধোয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। রোগীর ব্যবহার করা থালা-বাসন, পোশাক ইত্যাদি যেকোনো কিছু পরিষ্কার করার সময় মাস্ক, গ্লাভস পরে নিতে হবে। সবকিছু পরিষ্কার করতে হবে গরম পানিতে। কাজ শেষে হাত পরিষ্কার করতে হবে ভালোভাবে, গোসল করে নিতে পারলে আরও ভালো।
ঘর পরিষ্কার: সুইচবোর্ড, দরজার হাতল, রিমোট, পানির কল ইত্যাদি সকল বহুল ব্যবহৃত স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। পরিবারের সকলেই যদি ব্যবহারের পর সেগুলোতে স্যানিটাইজার প্রয়োগ করার অভ্যাস করতে পারেন তবে সবচাইতে ভালো হবে।
সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শুধু রোগীর যত্ন নিলেই হবে না, ঘরের সুস্থ সদস্যদের উচিত নিজ দায়িত্বে নিজের এবং অন্যান্য সকলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা। কারও মাঝে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি-না সেদিকেও খেয়াল রাখতে।
ঘরে পালস অক্সিমিটার কিনে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কীভাবে কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হয় সেটা শিখে নেওয়া এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন জরুরি মুহূর্তের জন্য।
এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স আনার জন্য জরুরি নম্বর ও হাসপাতালের খোঁজ রাখা ভালো। যাতে জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।