আমরা চাই না দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হোক। ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, ষড়যন্ত্র করে ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হেফাজতের তাণ্ডব দেখেছি। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই আমাদের দেশ উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট শুধুমাত্র বিরোধীতাই করে। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারা মানুষের কথা ভাবে না, তারা মানুষের পাশে দাঁড়াইনি। মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।
শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে দলীয় নেতকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। আইনের যে ধারা আছে, সে ধারা অনুযায়ী দেশ চলে। আইন মানুষের জন্য, আইন মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়। আইন দেশের বিশৃংখলা থামিয়ে রাখে, আইন মানুষকে সাহায্য করে। একটি দেশ তখনই ভালো চলে যেই দেশে আইনের শাসন আছে। যে দেশে আইনের শাসন নাই, সেই দেশ সোমালিয়া হবে। কাজেই আইনের প্রতি আমাদের আস্থাশীল হতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরার কারণে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বর্ডার করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত বর্ডার বন্ধ থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে করোনার কারণে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ প্রায় একবছর। ওই দিকে আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমাদের দেশের ক্ষতি হচ্ছে। উন্নয়ন যে আশা করেছিলাম ৮ পার্সেন্ট হবে, সেটা হচ্ছে না। কমে গেছে করোনার জন্যে। এর মধ্যে যদি আমরা আরও কিছু বিশৃংখলা ঘটাই তাহলে দেশ আরও পিছিয়ে যাবে। এটা আমরা চাই না। আমরা সবাই মিলে দেশের কাজ করি। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানুষের মৃত্যু বেড়ে যাবে। এই কথাটি কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।