জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। এক বছর মেয়াদের এই দায়িত্ব চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে। এই অর্জন শুধু বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির পরিচায়কও নয়, বরং জঙ্গিবাদ দমনে আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রমাণও।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) এসব উল্লেখ করেছে ইকোনমিক টাইমস। বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রায়শই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের উপর জোর দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেরোরিজম ২০১৭তে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে হোলি আর্টিজান হামলার পর থেকে অন্তত ৭৯ সন্দেহভাজন মৌলবাদী জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে। এসময় অন্তত ১৫০ জনকে আটকও করা হয়।
অর্থনৈতিক ও জঙ্গিদমনে সাফল্যই বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছে জাতিসংঘে: ভারতীয় গণমাধ্যম
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের অঞ্চল সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা ব্যবহৃত না হতে দিতে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে সন্ত্রাসের কোনো উপাদান আছে কিনা সেদিকেও নজর রাখছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন শেখ হাসিনা। কাউন্টার টেরোরিজমের সমর্থনে ২০০৯ সালে এন্টি টেরোরিজম আইন পাশ করা হয়। পরে ২০১৩ সালে তা সংশোধিত হয়।
শেখ হাসিনার বক্তব্য অনুসারে, সরকার ছয়টি জঙ্গিবাদী দলকে নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে আছে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ, আনসার আল বাংলা টিম এবং জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ। সীমান্ত সন্ত্রাসের ইস্যু মোকাবেলায় ভারতের সাথে নির্বিঘ্নে কাজ করা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ দূরীকরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ঢাকা।