দেখতে সাধারন কেকের মতো, কিন্তু না খাওয়া পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই সেটা আসলে কেমন কেক। কেকটি তৈরির অন্যতম উপাদান গাঁজা! এমন কেক (গাঁজা) তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতেন রাজধানীর তিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। ৩০ পিস গাঁজার কেকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তারা।
এরা হলেন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্সের কাফিল ওয়ারা রাফিদ, ধানমণ্ডির অ্যাডভান্সড প্রফেশনালসের কাজী রিসালাত হোসেন ও ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের সাইফুল ইসলাম সাইফ
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) তিন শিক্ষার্থীকে ঢাকার আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনা জোনের এসআই জুলহাস উদ্দিন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শাহিনুর রহমান আসামিদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মিশু বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত তিনজনই মাদকাসক্ত। এদের দু’জন নিজ নিজ বাসায় গাঁজার নির্যাস দিয়ে কেক তৈরি করে বিক্রি করতো। একজন এসব কেক ডেলিভারি করতো।
জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা গাঁজার কেক তৈরি ও বিক্রির বিষয়টি জানতে পারে। পরে এই চক্রের ওপর নজরদারি করে তাদেরকে আটক করা হয়। কেকগুলো নিজেরাই তৈরি ও ডেলিভারি দিতেন।
আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ইউটিউব দেখে তারা এই পদ্ধতি রপ্ত করেছেন। প্রথমে এসব কেক নিজেরা খেলেও পরবর্তীতে তাদের বন্ধুদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্লোজ গ্রুপ তৈরি করে তারা কেক বিক্রি শুরু করে। প্রতিপিস কেক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হতো।
এর আগে বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও পল্টন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনাল টিম।